Bengali Traders

  Delta (Δ) অপশন গ্রীকসের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ, যা অপশন প্রিমিয়ামের (অপশন মূল্য) প্রতি একক স্টক মূল্য পরিবর্তনের জন্য কতটা পরিবর্তন হবে তা নির্দেশ করে। Delta অপশন ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি স্টক বা অন্যান্য নির্ধারিত অ্যাসেটের মূল্য ওঠানামার সাথে অপশনের প্রিমিয়ামের পরিবর্তন বুঝতে সাহায্য করে। Delta (Δ) কী? Delta হল একটি অপশনের মূল্য (প্রিমিয়াম) পরিবর্তনের হার, যেটি স্টকের মূল্যের প্রতি একক পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি পরিমাপ করে যে, একটি অপশনের প্রিমিয়াম কতটা পরিবর্তিত হবে যদি স্টক মূল্যে এক পয়েন্ট (1 point) পরিবর্তন ঘটে। Delta সাধারাণভাবে 0 থেকে 1 (কল অপশন) এবং -1 থেকে 0 (পুট অপশন) এর মধ্যে থাকে। Delta অপশনের প্রাইসের সাথে স্টক প্রাইসের পরিবর্তন সম্পর্কিত। Delta কিভাবে কাজ করে? Delta অপশনটির দাম কেমনভাবে পরিবর্তিত হবে যখন মূল স্টকটির দাম ১ পয়েন্ট (যেমন $১) উঠবে বা নামবে তা নির্ধারণ করে। Call Option এর Delta 0 থেকে 1 এর মধ্যে থাকে। এর মানে হল যে যদি কল অপশনের Delta 0.50 হয় এবং স্টক মূল্য ১ পয়েন্ট বাড়ে, তাহলে কল অপশনের প্রিমিয়াম প্রায় 0....

  Theta (Θ) অপশন গ্রীকসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ, যা টাইম ডিকেয় (Time Decay) বা সময়গত ক্ষয় পরিমাপ করে। এটি নির্দেশ করে যে, অপশনের প্রিমিয়াম (অপশন মূল্য) কতটা হ্রাস পাবে যখন সময় এগিয়ে যাবে এবং অপশনের মেয়াদ শেষের দিকে পৌঁছাবে। Theta কী? Theta মূলত অপশনটির মূল্য হারানোর হারকে মাপার জন্য ব্যবহৃত হয় যখন সময় এগিয়ে চলে, অর্থাৎ টাইম ডিকেয় । অপশনটির মেয়াদ যত কাছে চলে আসবে, অপশনটির প্রিমিয়াম (মূল্য) তত দ্রুত কমতে থাকে। এর মানে হল যে, প্রতিদিন একটি অপশন যত বেশি পুরনো হয়, তার টাইম ভ্যালু (Time Value) কমতে থাকে এবং প্রিমিয়াম হ্রাস পায়। Theta-এর ভূমিকা: যেহেতু অপশনটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা (একের মধ্যে মাস, দিন বা সপ্তাহ) পেরিয়ে গেলে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, থেটা একটি অপশন ক্রেতার জন্য একটি খারাপ দিক হতে পারে, কারণ অপশন ক্রেতার জন্য সময়ের সাথে অপশনের মূল্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে, অপশন বিক্রেতাদের (বা সেলারের) জন্য এটি একটি ইতিবাচক বিষয়, কারণ তারা সময়ের সাথে প্রিমিয়াম হ্রাস পেয়ে লাভবান হতে পারে। Theta কীভাবে কাজ করে? Theta অপশনের টাইম ভ্যালু (Time Value) এর ক্ষয়ের হারকে নির...

  Option Greeks অপশন প্রিমিয়াম বা অপশনের মূল্য কীভাবে পরিবর্তিত হবে তা মাপার জন্য ব্যবহৃত কিছু পরিমাপ বা পরামিতি। এটি অপশন ট্রেডিংয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ অপশন গ্রীকস আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে বিভিন্ন উপাদান যেমন স্টক প্রাইস, ভলাটিলিটি, সময় এবং সুদের হার অপশন প্রিমিয়ামের উপর প্রভাব ফেলে। Option Greeks মূলত পাঁচটি প্রধান ধরনের পরিমাপ বা গ্রীকসকে নির্দেশ করে, যেগুলি হল: 1. Delta (Δ) Delta অপশনের প্রাইস (প্রিমিয়াম) কেমনভাবে মূল স্টকের দাম পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হবে তা নির্দেশ করে। Delta প্রাকৃতিকভাবে -১ থেকে +১ এর মধ্যে থাকে: Call Option এর জন্য Delta 0 থেকে 1 এর মধ্যে হয়, অর্থাৎ স্টক মূল্যের প্রতি ১ পয়েন্ট ওঠানামায় অপশনের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে তা নির্দেশ করে। Put Option এর জন্য Delta -1 থেকে 0 এর মধ্যে থাকে, অর্থাৎ স্টকের দাম প্রতি ১ পয়েন্ট পরিবর্তিত হলে পুট অপশনের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে তা নির্দেশ করে। উদাহরণ : যদি একটি কল অপশনের ডেল্টা ০.৭৫ হয় এবং স্টক মূল্য $৫০ থেকে $৫১ এ চলে যায়, তাহলে অপশন প্রিমিয়ামের মূল্য প্রায় ০.৭৫ ডলার বাড়বে। 2. Gamma (Γ) Gam...

 অপশন এর মূল্য (Option Price) এবং ভলাটিলিটি (Volatility) এর মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কটি অপশন ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ন, কারণ ভলাটিলিটি অপশন প্রিমিয়াম (অপশন এর মূল্য) এর একটি প্রধান উপাদান এবং এটি ট্রেডিং কৌশল তৈরি করার সময়কে প্রভাবিত করতে পারে। অপশন প্রিমিয়াম এবং ভলাটিলিটির সম্পর্ক: ভলাটিলিটি হলো একটি স্টক বা অন্য কোনও আর্থিক সম্পদের মূল্য ওঠানামার পরিমাণ। যখন ভলাটিলিটি বাড়ে, তখন অপশনের দামও বাড়তে থাকে। এর কারণ হল যে যখন মার্কেট বেশি ওঠানামা করবে, তখন একটি অপশন এর জন্য লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকবে, তাই তার দাম বাড়ে। অপশন প্রিমিয়াম সাধারনত দুইটি প্রধান উপাদানে বিভক্ত হয়: Intrinsic Value (ইনট্রিন্সিক ভ্যালু) Time Value (টাইম ভ্যালু) এখানে টাইম ভ্যালু অনেকটাই ভলাটিলিটির সাথে সম্পর্কিত থাকে। বিশেষভাবে Implied Volatility (আইমপ্লাইড ভলাটিলিটি) অপশন প্রিমিয়ামের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভলাটিলিটি এর প্রকারভেদ: ভলাটিলিটিকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়: Historical Volatility (এইচভি): এটি কোনো স্টকের অতীতের মূল্য ওঠানামা বা পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। এই ভল...

  Put-Call Ratio (PCR) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল ইনডিকেটর যা অপশন মার্কেটে পুট অপশন এবং কল অপশন ট্রেডের পরিমাণের মধ্যে অনুপাত (ratio) প্রদর্শন করে। এটি সাধারণত বাজারের মনোভাব (sentiment) এবং ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা বুঝতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণভাবে দুইভাবে হিসাব করা হয়: Put-Call Ratio = Total Put OI\ Total Call OI ​ এখানে: Put Volume : পুট অপশনের ট্রেড ভলিউম Call Volume : কল অপশনের ট্রেড ভলিউম Put-Call Ratio এর মানে কী? Put-Call Ratio এর মান বাজারের মনোভাব এবং ট্রেন্ডের নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত নিম্নলিখিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়: PCR > 1.0: যখন পুট কল অনুপাত ১ এর বেশি থাকে, তখন বাজারে পুট অপশনের পরিমাণ কল অপশনের চেয়ে বেশি। এটি সাধারণত বাজারের নেগেটিভ মনোভাব (Bearish Sentiment) নির্দেশ করে, যার মানে হলো ট্রেডাররা মনে করছে বাজার কমতে পারে এবং তারা এর বিরুদ্ধে পুট অপশন কিনছে। PCR < 1.0: যখন পুট কল অনুপাত ১ এর কম থাকে, তখন কল অপশনের পরিমাণ পুট অপশনের চেয়ে বেশি। এটি বাজারে পজিটিভ মনোভাব (Bullish Sentiment) নির্দেশ করে, কারণ ট্রেডাররা বাজার...

  অপশন প্রিমিয়াম হলো একটি অপশন কন্ট্র্যাক্টের মূল্য বা দাম যা অপশন ক্রেতা অপশন বিক্রেতাকে প্রদান করে। অপশন প্রিমিয়াম হল সেই মূল্য যা আপনি একটি কল বা পুট অপশন কিনতে বা বিক্রি করতে পরিশোধ করেন। এই প্রিমিয়ামটি দুইটি প্রধান উপাদানে বিভক্ত হয়: Intrinsic Value (ইনট্রিন্সিক ভ্যালু) Time Value (টাইম ভ্যালু) এই দুটি উপাদান অপশন প্রিমিয়ামের মোট মূল্য গঠন করে। Intrinsic Value (ইনট্রিন্সিক ভ্যালু) কী? Intrinsic Value (ইনট্রিন্সিক ভ্যালু) হলো অপশনটির অন্তর্নিহিত মূল্য, যা অপশনটির প্রাথমিক মূল্য (স্ট্রাইক প্রাইস) এবং তার অধিকারী স্টকের বর্তমান বাজারমূল্যের (Underlying Asset Price) মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে। Call Option এর জন্য : যদি স্টকটির বর্তমান বাজারমূল্য স্ট্রাইক প্রাইসের উপরে থাকে, তবে কল অপশনের ইনট্রিন্সিক ভ্যালু থাকে। ইনট্রিন্সিক ভ্যালু = স্টক মূল্য - স্ট্রাইক প্রাইস উদাহরণ: ধরুন স্টকটির বাজারমূল্য $120 এবং কল অপশনের স্ট্রাইক প্রাইস $100 হলে, ইনট্রিন্সিক ভ্যালু হবে $120 - $100 = $20। Put Option এর জন্য : পুট অপশনের ইনট্রিন্সিক ভ্যালু তখনই থাকে যখন স্টকটির বর্তমান বাজারমূল্য স্ট্রাইক ...

  অপশন চেইন হলো একটি তালিকা বা ডেটা ফর্ম্যাট, যা একটি নির্দিষ্ট স্টক বা সূচকের জন্য উপলব্ধ সব অপশন কন্ট্র্যাক্টের তথ্য প্রদান করে। এটি Call options এবং Put options এর বিভিন্ন মেয়াদ, স্ট্রাইক প্রাইস, ভলিউম, ওপেন ইন্টারেস্ট, প্রিমিয়াম ইত্যাদি তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে। অপশন চেইন পড়ে ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে আনতে পারে, যা তাদের বাজারের রূপরেখা এবং ট্রেডিং কৌশল গঠন করতে সহায়ক হতে পারে। অপশন চেইন পড়ার উপায়: অপশন চেইন পড়তে হলে নিচের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বুঝতে হবে: Strike Price (স্ট্রাইক প্রাইস): এটি অপশন কন্ট্র্যাক্টের মূল্য যা আপনি কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন। স্ট্রাইক প্রাইস সাধারণত স্টকের বর্তমান মূল্য (Underlying Asset Price) থেকে বেশ কিছু পয়েন্ট উপরে বা নিচে থাকে। Call Options (কল অপশন): কল অপশন হল এমন একটি অপশন যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্ট্রাইক প্রাইসে শেয়ার কেনার অধিকার দেয় (বাধ্যবাধকতা নয়)। কল অপশনের প্রিমিয়াম সাধারণত স্টকের দাম বৃদ্ধি পেলে বাড়ে। Put Options (পুট অপশন): পুট অপশন হল এমন একটি অপশন যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্ট্রাইক প্রাইসে শেয়ার বিক্রির অধ...

 ফাইন্যান্সের বিশ্বে অপশন ট্রেডিং একটি জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। অপশন হলো একটি ফাইন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভ যা আপনার কাছে একটি নির্দিষ্ট স্টক বা অন্যান্য সম্পদ কিনতে বা বিক্রি করার অধিকার দেয়, কিন্তু বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে না। অপশন দুটি ধরনের হতে পারে: Call Option (কল অপশন) Put Option (পুট অপশন) এই দুটি অপশন ট্রেড করার সময় Buyer (ক্রেতা) এবং Seller (বিক্রেতা) উভয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা প্রয়োজন। এখন, আসুন দুটি অপশন (Call এবং Put) এর বিস্তারিত আলোচনা করি, অপশন ক্রেতা (Buyer) এবং বিক্রেতা (Seller) উভয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে। Call Option (কল অপশন) Call Option একটি ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্র্যাক্ট যা একজন ক্রেতাকে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে, নির্দিষ্ট মূল্য (Strike Price) এ, একটি নির্দিষ্ট স্টক বা সম্পদ কেনার অধিকার প্রদান করে। কল অপশনের মাধ্যমে ট্রেডাররা একটি সম্পদের দাম বৃদ্ধির উপর বাজি ধরতে পারে। Call Option Buyer (ক্রেতা) এর দৃষ্টিকোণ: Call Option Buyer যদি একটি কল অপশন কেনে, তাহলে তার কাছে একটি অধিকার থাকবে সেই সম্পদটি নির্দিষ্ট দাম (strike price) এ কেনার, কিন্তু সে বাধ্য থাকবে না। ক...

 ফিউচার মার্কেটে রোলওভার এবং সেটেলমেন্ট দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যেগুলি ট্রেডারের পজিশন পরিচালনা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন, আমরা এগুলোর বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি। রোলওভার (Roll-over) কী? রোলওভার হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ফিউচার কন্ট্র্যাক্টের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সেই কন্ট্র্যাক্টটিকে দ্বিতীয় (next) মাসের কন্ট্র্যাক্টে স্থানান্তরিত করা হয়। এটি সাধারণত বিভিন্ন সময়সীমার ফিউচার কন্ট্র্যাক্ট ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীদের দীর্ঘমেয়াদী পজিশন ধরে রাখতে সাহায্য করে, যখন তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ আসে। যেভাবে রোলওভার কাজ করে: যখন একটি ফিউচার কন্ট্র্যাক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ (expiry date) আসে, আপনি যদি সেই পজিশনটি ধরে রাখতে চান, তবে আপনাকে সেই কন্ট্র্যাক্টটি ক্লোজ করতে হবে এবং পরবর্তী মেয়াদের কন্ট্র্যাক্টে নতুন পজিশন ওপেন করতে হবে। একে রোলওভার বলা হয়। কেন রোলওভার করা হয়? ১. আপনি যদি কোনো পণ্যে বা স্টকের প্রতি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন, তবে রোলওভার করে আপনি আপনার পজিশন ধরে রাখতে পারেন।...

Open Interest (ওপেন ইন্টারেস্ট) হলো একটি নির্দিষ্ট ফিউচার বা অপশন কন্ট্র্যাক্টের মোট সংখ্যা যা বাজারে বর্তমানে খোলা বা অ্যাকটিভ অবস্থায় রয়েছে। এটি একটি অর্থনৈতিক টার্ম যা সাধারণত ফিউচার এবং অপশন মার্কেটের সাথে সম্পর্কিত। ওপেন ইন্টারেস্টের মূল ধারণা: Open Interest এমন একটি সূচক যা বাজারে কতটি ওপেন পজিশন (long বা short) আছে তা নির্দেশ করে। এটি একদিনের শেষে সব খোলা কন্ট্র্যাক্টের সংখ্যা গণনা করে এবং একদিনের মধ্যে নতুন কন্ট্র্যাক্টে যুক্ত বা বাতিল হওয়া পজিশন হিসেব করা হয়। উদাহরণস্বরূপ: যদি এক ব্যক্তি একটি ফিউচার কন্ট্র্যাক্ট কিনে এবং আরেক ব্যক্তি তা বিক্রি করে, তখন ওই কন্ট্র্যাক্টটি একটি ওপেন পজিশন তৈরি করে। এরপর যদি এই কন্ট্র্যাক্টটি পরবর্তীতে মিউচুয়ালি ক্লোজ বা স্যাটল করা হয়, তাহলে ওপেন ইন্টারেস্ট কমে যাবে। ওপেন ইন্টারেস্টের ব্যবহার: বাজারের গতি বোঝা: ওপেন ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি পেলে বোঝা যায় যে, বাজারে নতুন পজিশন তৈরি হচ্ছে এবং এটি বাজারের প্রবণতার শক্তি ও দিক নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে। ওপেন ইন্টারেস্ট কমলে, এটি সংকেত দেয় যে নতুন পজিশন কম আসছে এবং বাজারে কোনো শক্তিশালী আন্দোলন নেই বা সংশয়...

  হেজিং (Hedging) একটি ঝুঁকি কমানোর কৌশল, যা ফিউচার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মূলত বাজারের অস্থিরতা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি নিরাপত্তামূলক কৌশল, যার মাধ্যমে একজন ট্রেডার বা বিনিয়োগকারী তাদের পোর্টফোলিও বা অবস্থানকে ক্ষতির ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে। ফিউচার কন্ট্র্যাক্ট ব্যবহার করে হেজিং করা হয় মূলত উল্টো পজিশন নিয়ে, যাতে মূল পজিশনের ক্ষতির মোকাবিলা করা যায়। ফিউচার মার্কেটে হেজিং করার প্রক্রিয়া সাধারণত দুইভাবে হয়ে থাকে: লং পজিশন (Long Position) হেজ করা। শর্ট পজিশন (Short Position) হেজ করা। এই প্রক্রিয়াগুলি মূলত সংশ্লিষ্ট সম্পদ বা পণ্যগুলোর ভবিষ্যৎ মূল্য পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ফিউচার ট্রেডিং থেকে হেজিং করার পদ্ধতি: 1. লং পজিশন হেজিং: লং পজিশন হেজিংয়ে, আপনি যদি বাজারে কোনো পণ্য বা স্টক কিনে থাকেন (যা আপনি ভবিষ্যতে বিক্রি করবেন), তবে আপনি সেই পণ্যের বা স্টকের শর্ট পজিশন গ্রহণ করতে পারেন ফিউচার মার্কেটে। উদাহরণ: ধরুন আপনি সোয়া বিনস কেনেছেন এবং দাম পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আপনি সোয়া বিনসের ফিউচার কন্ট্র্যাক্টে শর্ট পজিশন নিলে যদি দাম কমে যায়, আপনার শর্ট...

  ডেড ক্যাট বাউন্স (Dead Cat Bounce) হল একটি অর্থনৈতিক বা শেয়ার বাজারের টার্ম যা একটি সাময়িক মূল্যবৃদ্ধি বা কনসোলিডেশন বোঝায়, যা সাধারণত একটি দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতার (bearish trend) মাঝে ঘটে। এই বাউন্স (bounce) এক ধরণের ভ্রান্ত পুনরুদ্ধার (false recovery) হিসেবে দেখা হয়, যেখানে দাম এক সময়ে কিছুটা বাড়ে, তবে এটি দ্রুত আবার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। অর্থাৎ, যখন বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যপতন ঘটে, তখন কিছু সময়ের জন্য দাম সামান্য বেড়ে উঠতে পারে, কিন্তু এটি একটি ক্ষণস্থায়ী বা সাময়িক ঊর্ধ্বগতি (temporary rally) এবং বাজার আবার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এটি বেয়ারিশ কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন (bearish continuation pattern) হিসেবে গণ্য হয় এবং মূলত বাজারে পুঞ্জীভূত নেতিবাচক আবেগ বা দুর্বলতারই প্রতিফলন। ডেড ক্যাট বাউন্সের উদাহরণ: ধরা যাক, কোনো কোম্পানির শেয়ার মূল্য প্রায় এক মাস ধরে অবিচলিতভাবে পতিত হয়েছে। হঠাৎ, কিছু শেয়ার বিক্রির পর দাম সামান্য বাড়তে শুরু করে। এরপরে, বাজারের নেতিবাচক প্রবণতা পুনরায় শুরু হয় এবং শেয়ারের দাম আবার নিম্নমুখী হতে থাকে। এই সামান্য বৃদ্ধি, যা কিছু সময়...

  ডিসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন একটি শক্তিশালী বেয়ারিশ কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন (bearish continuation pattern), যা সাধারণত একটি বেয়ারিশ ট্রেন্ডের সময় গঠিত হয়। এই প্যাটার্নটি মূলত দাম সাইডওয়ে বা কনসোলিডেশন ফেজে চলে আসার পর একটি ব্রেকআউট সৃষ্টি করে, যার ফলে দাম নিচে চলে যেতে পারে। ডিসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গলটি একটি ত্রিভুজ আকারের প্যাটার্ন, যার এক দিকে লোয়ার হাই (lower highs) এবং অন্য দিকে ফ্ল্যাট লো (flat lows) তৈরি হয়। এই প্যাটার্নটি সাধারণত একটি দুর্বল বাজারের সংকেত দেয় এবং ব্রেকআউটের পরে দাম নিম্নমুখী প্রবাহের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডিসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের গঠন: লোয়ার হাই (Lower Highs): ডিসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, দাম ক্রমাগত লোয়ার হাই তৈরি করে। অর্থাৎ, দাম পূর্ববর্তী উচ্চতার থেকে কম (lower) উচ্চতা তৈরি করে এবং এটি একটি সংকুচিত ত্রিভুজের আকার ধারণ করে। ফ্ল্যাট লো (Flat Lows): এই প্যাটার্নের নিচের দিকটি ফ্ল্যাট লো তৈরি করে, যার মানে হল দাম একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছানোর পর আরও নিচে যায় না এবং বেশ কিছু সময় ধরে সেই স্তরে আটকে থ...

  অ্যাসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন একটি শক্তিশালী বুলিশ কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন (bullish continuation pattern) যা সাধারণত একটি বুলিশ ট্রেন্ডের সময় গঠিত হয়। এই প্যাটার্নটি মূল্য কনসোলিডেশন বা সমন্বয় প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় তৈরি হয় এবং এটি বাজারে উপরের দিকে (bullish) ব্রেকআউটের সংকেত দেয়। অ্যাসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গলটি দেখতে একটি ত্রিভুজের মতো হয়, যেখানে নিচের দিকটি একটি হাইয়ার লো (higher lows) এবং উপরের দিকটি একটি ফ্ল্যাট হাই (flat highs) তৈরি করে। অর্থাৎ, মূল্য একদিকে উঠছে (উর্ধ্বমুখী), তবে অন্যদিকে একটি সাইডওয়ে বা চাপে থাকে, যা পরে একটি শক্তিশালী ব্রেকআউট তৈরি করে। অ্যাসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের গঠন: হাইয়ার লো (Higher Lows): অ্যাসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, দাম ক্রমাগত নতুন নতুন লো (low) তৈরি করে, তবে সেই লো গুলি আগের লো থেকে উচ্চ (higher) থাকে। এটি বাজারের শক্তিশালী বুলিশ প্রবণতার সংকেত দেয়। ফ্ল্যাট হাই (Flat Highs): প্যাটার্নের উপরের দিকটি সাধারণত এক লাইনে থাকে, যেখানে দাম নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আবার ফিরে আসে। অর্থাৎ, দাম একাধিক ...

  সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্ন একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী চার্ট প্যাটার্ন, যা মূলত বাজারে সমন্বয় বা কনসোলিডেশন সময় তৈরি হয় এবং এটি একটি কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন হিসেবে কাজ করতে পারে। সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নটি ট্রেন্ডিং মার্কেটের মধ্যবর্তী সময়ে গঠিত হয় এবং সাধারণত এটি মূল্য হালকাভাবে ওঠানামা করার সময় একটি সংকীর্ণ পরিসরে সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। এই প্যাটার্নটি একটি ট্রেন্ড কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন হিসাবে কাজ করতে পারে, যার মানে হলো, প্যাটার্নের ব্রেকআউটের পরে মূল প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নের গঠন: উর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড এবং নিম্নমুখী ট্রেন্ড: সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গল প্যাটার্নটি দুটি সমান্তরাল প্রবণতার সংমিশ্রণ। এক দিকে একটি উর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড (higher lows) এবং অন্য দিকে একটি নিম্নমুখী ট্রেন্ড (lower highs) থাকে। এই দুটি ট্রেন্ড একে অপরকে সম্মিলিত করে একটি সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গল বা ত্রিভুজ আকারে পরিণত হয়। প্যাটার্নের সীমানা: প্যাটার্নের একদিকে মূল্য ধীরে ধীরে উর্ধ্বমুখী (higher lows) হতে থাকে এবং অন্যদিকে এটি নিম্নমুখী (lower hi...

  পোল অ্যান্ড ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন একটি জনপ্রিয় কন্টিনিউয়েশন (Continuation) চার্ট প্যাটার্ন, যা সাধারণত স্টক, ফরেক্স বা কমোডিটিতে দেখা যায়। এই প্যাটার্নটি একটি প্রবণতা চলমান থাকার সময় গঠন হয়, এবং এটি বাজারের সাময়িক সমন্বয় বা রিট্রেসমেন্ট দেখায়। প্যাটার্নটি পরামর্শ দেয় যে, ফ্ল্যাগ (ফ্ল্যাগ প্যাটার্নের সমন্বয় পর্যায়) শেষ হওয়ার পর, মূল্য আবার পূর্বের প্রবণতা অনুসারে চলতে থাকবে, অর্থাৎ পূর্ববর্তী ট্রেন্ডের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এই প্যাটার্নটি সাধারণত শক্তিশালী বুলিশ (Bullish) বা বেয়ারিশ (Bearish) ট্রেন্ডের সময় গঠন হয় এবং এটি পরবর্তীতে বাজারে প্রবণতার (trend) পুনরায় ফিরে আসার সংকেত দেয়। পোল অ্যান্ড ফ্ল্যাগ প্যাটার্নের উপাদান: পোল (Poll) - শক্তিশালী মুভমেন্ট: পোলটি হল প্রথম শক্তিশালী মূল্য গতিবিধি, যা কোনও নির্দিষ্ট দিক (উপরে বা নিচে) তীব্রভাবে চলে যায়। এটি সাধারণত একটি বড় মূল্য স্পাইক বা তীব্র মূল্য মুভমেন্ট হিসেবে দেখা যায়। এই শক্তিশালী মুভমেন্টটি কোনো বড় অর্থনৈতিক ঘটনাবলী, পজিটিভ/নেগেটিভ সংবাদ বা বড় ইভেন্টের কারণে হতে পারে। এই সময় দাম দ্রুত একটি নির্দিষ্ট দিকের দিক...

  কাপ অ্যান্ড হ্যান্ডেল প্যাটার্ন একটি জনপ্রিয় বুলিশ (Bullish) চার্ট প্যাটার্ন, যা সাধারণত একটি ডাউনট্রেন্ড বা সাইডওয়ে মুভমেন্টের পরে তৈরি হয় এবং এটি ভবিষ্যতে একটি নতুন বুলিশ (Bullish) প্রবণতার সূচনা করে। এই প্যাটার্নটির নাম এসেছে এর আকৃতির কারণে, যা দেখতে একটি কাপের মতো এবং তার পর একটি হ্যান্ডেল তৈরি হয়। কাপ অ্যান্ড হ্যান্ডেল প্যাটার্নটি প্রধানত একটি বিপরীত প্রবণতা (Trend Reversal) প্যাটার্ন হিসেবে কাজ করে, যা দাম বৃদ্ধি (uptrend) বা শক্তিশালী বুলিশ ট্রেন্ডের সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য প্যাটার্ন, তবে এটি প্রায়ই দীর্ঘ সময়ে গঠিত হয় এবং কিছুটা ধৈর্য 요구 করে। কাপ অ্যান্ড হ্যান্ডেল প্যাটার্নের গঠন : কাপ অ্যান্ড হ্যান্ডেল প্যাটার্নটি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত: কাপ (Cup) : কাপটি সাধারণত একটি উর্ধ্বমুখী বক্ররেখা (U-shape) আকারে তৈরি হয়, যা মূলত এক ধরণের নিচে নেমে যাওয়া এবং তারপর উপরে ওঠার (price retracement and recovery) আকারে থাকে। এই সময় বাজারের চাপ (selling pressure) ধীরে ধীরে কমে যায় এবং ক্রয় চাপ (buying pressure) বাড়তে শুরু করে। এই ধর...