পোস্টগুলি

Economy লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Repo Rate কিভাবে কাজ করে?

  Repo Rate (Repurchase Agreement Rate) হল কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত সুদের হার যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদী ঋণ গ্রহণ করার জন্য পরিশোধ করতে হয়। সহজ ভাষায়, এটি সেই হার যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের শর্তসাপেক্ষে ঋণ নেওয়ার জন্য পরিশোধ করে। Repo Rate হল মুদ্রানীতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এটি অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং সুদের হার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। Repo Rate কিভাবে কাজ করে? Repo Agreement (Repurchase Agreement) যখন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের দৈনিক নগদ প্রবাহের ঘাটতি পূরণ করতে চায়, তারা সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ঋণ নেয়। এই ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়াকে Repurchase Agreement বা Repo Agreement বলা হয়। এই চুক্তির আওতায়, ব্যাংকগুলি সাধারণত সরকারী সিকিউরিটিজ বা বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা দিয়ে ঋণ গ্রহণ করে, এবং একদিন বা কিছুদিনের মধ্যে এই ঋণ ফেরত দেয়। Return of Loan (ঋণ ফেরত): ঋণ ফেরত দেওয়ার সময়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দিষ্ট সুদের হারে অর্থ পরিশোধ করে, যা Repo Rate ...

Monetary Policy অর্থনীতির এবং শেয়ার বাজারে উপর প্রভাব

  Monetary Policy হল কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা গৃহীত নীতিমালা যা অর্থনীতিতে মুদ্রা সরবরাহ ও সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে, এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মূল্যস্তর নিয়ন্ত্রণ (মুদ্রাস্ফীতি), এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করা হয়। মূলত, এই নীতিমালা সরকারের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করে এবং এটি সরাসরি অর্থনৈতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যেমন ভারতের Reserve Bank of India (RBI) বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Federal Reserve , মুদ্রানীতির (monetary policy) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তগুলো সাধারণত money supply (মুদ্রা সরবরাহ) এবং interest rates (সুদের হার) এর মাধ্যমে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে প্রভাব ফেলে। Monetary Policy এর দুটি প্রধান ধরন: ১. Expansionary Monetary Policy (বর্ধিত মুদ্রানীতি): এই নীতি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য গ্রহণ করা হয়। সাধারণত, যখন অর্থনীতি মন্দার মধ্যে থাকে বা সংকুচিত হয়, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে দেয় এবং মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এর ফলে ঋণের মূল্য কমে যায় এবং ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণগ্রহণ সহজ হয়,...

Fiscal Policy or Budget অর্থনীতির এবং শেয়ার বাজারে উপর প্রভাব

  Fiscal Policy হল সরকার কর্তৃক আর্থিক নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া যা দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্তর নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত সরকারের ব্যয় এবং রাজস্ব (taxation) সম্পর্কিত সিদ্ধান্তসমূহের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। সরকার তার আয় এবং ব্যয়ের মাধ্যমে অর্থনীতির চাহিদা এবং সরবরাহের দিকে প্রভাব ফেলে, যা দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। Fiscal policy দুটি প্রধান উপাদানে বিভক্ত: Expansionary Fiscal Policy (বর্ধিত আর্থিক নীতি) Contractionary Fiscal Policy (সংকুচিত আর্থিক নীতি) Fiscal Policy অর্থনীতির উপর প্রভাব: Aggregate Demand বৃদ্ধি বা হ্রাস: Expansionary fiscal policy (বর্ধিত আর্থিক নীতি) যখন সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পায় অথবা ট্যাক্স কমানো হয়, তখন এর ফলে aggregate demand বা মোট চাহিদা বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, সরকারি প্রকল্পের জন্য ব্যয় বৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং মানুষের আয় বাড়ে, যা তাদের খরচ বাড়াতে সহায়তা করে, ফলে উৎপাদন এবং মুনাফা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, Contractionary fiscal policy (সংকুচিত আর্থিক ...

জিডিপি (GDP): সংজ্ঞা এবং শেয়ারবাজার ও অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব

  জিডিপি (Gross Domestic Product) হলো একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একটি অন্যতম প্রধান সূচক। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে, একটি দেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ও সেবার মোট অর্থমূল্য প্রকাশ করে। জিডিপি অর্থনীতির স্বাস্থ্য এবং প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। জিডিপি কী? জিডিপি হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের পরিমাণ। এটি দেশটির আর্থিক কার্যকলাপ এবং সক্ষমতা বোঝায়। জিডিপির মূল উপাদানসমূহ: উপভোগ (Consumption): ব্যক্তিগত খরচ, যেমন খাদ্য, পোশাক, এবং বিনোদনের জন্য ব্যয়। বিনিয়োগ (Investment): নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, এবং ব্যবসার সম্প্রসারণে বিনিয়োগ। সরকারি ব্যয় (Government Spending): শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামরিক খাতে সরকারি খরচ। নির্বাহী রপ্তানি এবং আমদানি (Net Exports): রপ্তানির আয় থেকে আমদানির ব্যয় বাদ দেওয়া। জিডিপির প্রকারভেদ: মোট জিডিপি (Nominal GDP): বর্তমান বাজার দরে হিসাব করা। বাস্তব জিডিপি (Real GDP): মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয়ের পর হিসাব করা। প্রতি ব্যক্তির জিডিপি (GDP Pe...

১৯৯০ সালের পর থেকে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) মুদ্রানীতি প্রয়োগের বিবরণ

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মুদ্রানীতি হলো অর্থনীতিতে টাকার সরবরাহ, সুদের হার, এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। ১৯৯০ সালের পর থেকে, RBI মুদ্রানীতি প্রণয়ন এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯০-এর দশকের মুদ্রানীতির যুগান্তকারী পরিবর্তন ১. উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ এবং বিশ্বায়ন (LPG) নীতি: ১৯৯১ সালে ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি চালু হলে RBI মুদ্রানীতি প্রণয়নে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে। মূল লক্ষ্য: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। আর্থিক বাজারের উদারীকরণ। উপায়: মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে উচ্চ সুদের হার। বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রবেশের অনুমতি। রেপো এবং রিভার্স রেপো রেট চালু। ২. চাহিদা ও সরবরাহ ভিত্তিক মুদ্রানীতি: RBI সরবরাহ ও চাহিদার ভিত্তিতে অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ পরিচালনা করতে শুরু করে। নগদ সংরক্ষণ অনুপাত (CRR) এবং স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (SLR) প্রয়োজন অনুযায়ী সামঞ্জস্য করা হয...

মুদ্রাস্ফীতি (Inflation): একটি বিশদ বিশ্লেষণ

মুদ্রাস্ফীতি বা ইনফ্লেশন একটি সাধারণ অর্থনৈতিক অবস্থা, যা সময়ের সঙ্গে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে টাকার মূল্য কমে যাওয়া বোঝায়। এটি একটি অর্থনীতির প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি একটি জাতির আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্লগে, আমরা মুদ্রাস্ফীতির ধারণা, এর কারণ, প্রভাব, প্রকারভেদ এবং এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। মুদ্রাস্ফীতি কী? মুদ্রাস্ফীতি হলো একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যেখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় এবং মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি পণ্যের দাম গত বছর ₹১০০ হয় এবং এ বছর তা ₹১১০ হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি ১০% হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণ মুদ্রাস্ফীতি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। প্রধান কারণগুলো হলো: ১. চাহিদা টান (Demand-Pull Inflation): যখন কোনো পণ্যের চাহিদা সরবরাহের তুলনায় বেশি হয়, তখন এর দাম বেড়ে যায়। ২. উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি (Cost-Push Inflation): যখন উৎপাদন খরচ (যেমন: কাঁচামাল, শ্রম, জ্বালানি ইত্যাদি) বেড়ে যায়, তখন পণ্যের দামও বাড়ে। ৩. মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি (Monetary Inflation): ...

মন্দা (Recession): একটি বিশদ বিশ্লেষণ

মন্দা বা রিসেশন হলো একটি অর্থনৈতিক অবস্থা যেখানে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এটি অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকটকাল এবং এর প্রভাব শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, মানুষের জীবনযাত্রা, কর্মসংস্থান, এবং ব্যবসার উপরও পড়ে। এই ব্লগে আমরা মন্দার কারণ, এর লক্ষণ, প্রভাব, এবং কীভাবে এটি মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। মন্দা কী? মন্দা হলো এমন একটি অর্থনৈতিক অবস্থা, যখন অর্থনীতির বৃদ্ধি দুই বা তার বেশি ধারাবাহিক ত্রৈমাসিকের জন্য নেতিবাচক হয়ে যায়। অর্থনীতির এই সংকোচন প্রভাব ফেলে দেশজ উৎপাদন (GDP), বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের উপর। মূল বৈশিষ্ট্য: GDP হ্রাস: সামগ্রিক উৎপাদন কমে যায়। বেকারত্ব বৃদ্ধি: কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার কমে যায়। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্থবিরতা: নতুন বিনিয়োগ কম হয় এবং উৎপাদন হ্রাস পায়। উপভোক্তা ব্যয় কমে যায়: মানুষ ব্যয় কমাতে শুরু করে, যা অর্থনীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। মন্দার কারণ মন্দা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো: ১. অর্থনৈতিক চক্র (Economic Cycle): প্রাকৃতিক অর্থনৈতিক চক্রে...

অর্থনৈতিক চক্র: এক বিস্তৃত পর্যালোচনা

 অর্থনীতি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। এই প্রক্রিয়াটি "অর্থনৈতিক চক্র" নামে পরিচিত। অর্থনৈতিক চক্র একটি পুনরাবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়া যেখানে অর্থনীতি বিস্তার (Expansion), শিখর (Peak), সংকোচন (Contraction), এবং নিম্নমুখী পর্যায় (Trough) অতিক্রম করে। এই চক্রের গভীরতা এবং প্রকৃতি বুঝতে পারা ব্যক্তি, ব্যবসা এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে, আমরা অর্থনৈতিক চক্রের ধারণা, এর বিভিন্ন পর্যায়, কারণ এবং এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করবো। অর্থনৈতিক চক্র কী? অর্থনৈতিক চক্র বলতে একটি দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উত্থান-পতনের প্রাকৃতিক প্রবাহ বোঝায়। এটি মূলত উৎপাদন, আয়, কর্মসংস্থান এবং ব্যয়ের পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়। অর্থনৈতিক চক্রের চারটি প্রধান ধাপ রয়েছে: বিস্তার (Expansion) শিখর (Peak) সংকোচন (Contraction) নিম্নমুখী পর্যায় (Trough) এই ধাপগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত এবং একটি চক্রের মতো পুনরাবৃত্তি ঘটেঅর্থনৈতিক চক্র: এক বিস্তৃত পর্যালোচনা অর্থনীতি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্...